
CHARFASHION,BHOLA. EIIN : 101412
করিমজান মহিলা কামিল মাদ্রাসার ইতিহাস
১৯৮৪ সালের ২০ আগষ্ট ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার ধর্মপ্রাণ মুসলমানগন, সূধীসমাজ এবং ওলামায়ে কেরামগন চরফ্যাসন উপজেলার মেয়েদেরকে ধর্মীয় ও ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষ্যে একটি মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করার নিমিত্তে চরফ্যাসন বাজারের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী এবং তৎকালীন জিন্নাগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব হাবিবুর রহমান ফরাজী সাহেবের ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে এক মত বিনিময় সভায় মিলিত হন। উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন জনাব হাবিবুর রহমান ফরাজী, মোঃ আঃ মতিন মিয়া, আলহাজ্ব মোজাম্মেল হক পাটওয়ারী, জালাল আহমেদ মহাজন, অধ্যক্ষ মিয়া মোঃ নজরুল ইসলাম (জাতীয় সংসদ সদস্য), আলী আহাম্মদ মাস্টার, অধ্যক্ষ মাওঃ নুরুল ইসলাম, মাওঃ মোজাম্মেলুল হক, মাওঃ আবদুল খালেক, মাওঃ নুর মোহাম্মদ, মোঃ আনিচল হক আনিচ মিয়া, মোঃ মানিক মিয়া ওরফে আলী মিয়া, আলহাজ্ব আবুল কাশেম, অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান (পরবর্তীতে অধ্যক্ষ), সাখাওয়াত উল্যাহ মাস্টার, মোজাম্মেল হক মাস্টার প্রমুখ। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন চরফ্যাসন কারামাতিয়া কামিল মাদ্রাসার স্বনামধন্য অধ্যক্ষ জনাব মাওঃ নুরুল ইসলাম। উক্ত সভায় উপস্থিত সুধীমন্ডলী ও শিক্ষানূরাগী ব্যাক্তিবর্গ চরফ্যাসন উপজেলায় সাধারন শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত বালিকা বিদ্যালয়ের পাশাপাশি মেয়েদের ধর্মীয় শিক্ষা লাভের জন্য একটি মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
স্থান নির্ধারন প্রসঙ্গে-
(১) মাদ্রাসাটি স্থাপনের স্থান নির্ধারন প্রসঙ্গে আলোচনায় জনাব আবদুল মতিন মিয়াঁ চরফ্যাসন থানার পূর্বপাশে তার জমিতে স্থান দেওয়ার জন্য সম্মতি প্রকাশ করেন।
(২) জনাব মোজাম্মেল হক পাটওয়ারী চরফ্যাসন মহাবিদ্যালয়ের দক্ষিন পাশে তার জমিতে স্থান দেওয়ার জন্য সম্মতি প্রকাশ করেন।
(৩) জনাব আনিচল হক আনিচ মিয়া এবং জনাব মোঃ মানিক মিয়া ওরফে আলী মিয়া- এ দুই ভাই মিলে চরফ্যাসন হাসপাতালের দক্ষিন পাশে (বর্তমানে স্থাপিত) তাদের জমিতে স্থান দেওয়ার জন্য সম্মতি জ্ঞাপন করেন।
প্রস্তাবিত তিনটি স্থান নিয়ে ব্যাপক আলোচনার পর বিভিন্ন দিক লক্ষ্য করে হাসপাতালের দক্ষিন পাশের স্থানটিতে মহিলা মাদ্রাসা স্থাপনের বিষয়ে উপস্থিত গন্যমান্য ব্যাক্তিগন একমত পোষন করেন। অতঃপর জনাব মোঃ আনিচল হক মিয়া ও মানিক মিয়া ওরফে আলী মিয়া- দুই জনে মিলে ২০ শতাংশ করে মোট ৪০ শতাংশ জমি মাদ্রাসার নামে রেজিষ্ট্রি করে দেন। অতঃপর তাদের দাদী জনাবা করিমজান বিবির নামে "করিমজান মহিলা দাখিল মাদ্রাসা" নামকরন করে ১৯৮৫ সালের জানুয়ারী মাসে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
পাঠদানের অনুমতিঃ মাদ্রাসাটি চালু করার পর মাদ্রাসা বোর্ডে আবেদন করলে বোর্ড থেকে সরেজমিনে পরিদর্শন করে ০১/০১/১৯৮৬ সাল হতে পাঠদানের প্রাথমিক অনুমতি প্রদান করা হয়।
দাখিল পরীক্ষাঃ ১৯৮৬ইং সালে ১ম বারের মত দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহন করার পর শতভাগ কৃতকার্য হয়।
এম, পি, ও ভুক্তিঃ ০১/০৩/১৯৮৬ ইং সালে দাখিল দাখিল স্তরের শিক্ষক কর্মচারীদেরকে এম, পি, ও ভুক্ত করা হয়।(এম, পি, ও ভুক্তির অর্ডার আসে ০১/০৬/১৯৮৬ তারিখে)
প্রথম স্বীকৃতি/মঞ্জুরীঃ দাখিল স্তরে ০১/০১/১৯৮৮ ইং সালে
প্রথম স্বীকৃতি/মঞ্জুরী লাভ করা হয়।
দাখিল বিজ্ঞান ও কম্পিউটারঃ ০১/০১/২০১৫ ইং তারিখে একাডেমিক অনুমতি লাভ করে।
আলিম পাঠদানের অনুমতি এবং এম, পি, ও ভুক্তিঃ ০১/০৭/১৯৯৩ ইং সালে আলিম পাঠদানের অনুমতি লাভ করা হয় এবং ০১/০৪/১৯৯৪ ইং তারিখ হতে এম, পি, ও ভুক্ত করা হয়। (এম,পি,ও ভুক্তির পত্র পাওয়া যায় ২৯/০৯/৯৪ ইং তারিখে)
আলিম একাডেমিক স্বীকৃতিঃ ০১/০৭/১৯৯৪ ইং তারিখে আলিম একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করা হয়।
আলিম বিজ্ঞানঃ ০১/০৭/২০০৭ ইং তারিখে একাডেমিক অনুমতি লাভ করা হয়।
ফাজিল পাঠদানের অনুমতি এবং স্বীকৃতিঃ ০১/০৭/২০০০ ইং তারিখে প্রাথমিক পাঠদানের অনুমতি এবং ০১/০৭/২০০১ ইং তারিখে স্বীকৃতি লাভ করা হয়।
ফাজিল এম, পি, ও ভুক্তিঃ ০১/১০/২০০১ ইং তারিখে ফাজিল এম, পি, ও ভুক্ত করা হয়।(পত্র পাওয়া যায় ১৫/০৪/২০০২ ইং তারিখে)
কামিল পাঠদানের অনুমতিঃ ০১/০৭/২০০৫ ইং তারিখে হাদিস বিভাগ, কামিল ১ম বর্ষ খোলার অনুমতি লাভ করা হয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া থেকে।
কামিল অধিভুক্তিঃ ২১/১১/২০১৪ ইং তারিখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া থেকে অধিভুক্তি লাভ করা হয়।
এস, এস, সি (ভোক) স্বীকৃতিঃ ০১/০১/২০০৩ ইং তারিখে স্বীকৃতি লাভ করা হয়।
অত্র মাদ্রাসাটি বরিশাল বিভাগের একমাত্র অধিভুক্তিকৃত মহিলা কামিল মাদ্রাসা।
প্রতিষ্ঠাতা সুপার অধ্যক্ষঃ জনাব মাওলানা মোজাম্মেলুল হক সাহেব। তিনি ০৮/০৭/২০০৩ সালে ইন্তেকাল করেন।। পরবর্তীতে তৎকালীন উপাধ্যক্ষ পদে কর্মরত জনাব মাওঃ আবদুল খালেক সাহেব বিগত ০৫/০৯/২০০৩ ইং তারিখে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ লাভ করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন।
উপাধ্যক্ষঃ জনাব মাওঃ ইয়াকুব আলী সাহেব নিয়োগপ্রাপ্ত।
ভবনঃ ৪টি - ১ তলা ১টি, ৫ কক্ষ বিশিষ্ট (৮৫'), ২ তলা ১টি, ১৪ কক্ষ বিশিষ্ট(২০০'), ৩ তলা ১ টি, ৬ কক্ষ বিশিষ্ট(১৯০'), আধাপাকা ১ টি, ৩ কক্ষ বিশিষ্ট(৫০')
শ্রেণীকক্ষঃ ২৪ টি
কম্পিউটার ল্যাবঃ শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব, ১৭ টি ল্যাপটপ কম্পিউটার, টেবিল চেয়ার সহ সুসজ্জিত।
গ্রন্থাগারঃ আলমিরা সহ সুসজ্জিত পুস্তক দ্বারা একটি আধুনিক গ্রন্থাগার রয়েছে। বই সংখ্যা ৫৩২০।
বিজ্ঞানাগারঃ বিজ্ঞানাগারে সকল যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র বিদ্যমান।
অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, শিক্ষক ও শিক্ষিকা মিলনায়তনঃ অধ্যক্ষের জন্য একটি আলাদা কক্ষ, উপাধ্যক্ষের জন্য একটি এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য আলাদা আলাদা কক্ষ রয়েছে। অত্র মাদ্রাসায় ১ম শ্রেণী হতে কামিল শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ১৩০০ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে(৫ম শ্রেণী পর্যন্ত সহশিক্ষা)। শিক্ষক কর্মচারী সহ মোট স্টাফ ৪৫ জন। পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল ভোলা জেলার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে।
ভবিষ্যতে অনার্স কোর্স চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
মোঃ আবদুল খালেক,
অধ্যক্ষ,
করিমজান মহিলা কামিল মাদ্রাসা,
চরফ্যাসন, ভোলা।
মোবাইলঃ ০১৭১২০৬০৪৪৩